১৪৪১ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে আগামী সোমবার।
শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আজ শনিবার রাতে সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ঈদগাহ বা উন্মুক্ত স্থানে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে না। এই ক্ষেত্রে মুসল্লিরা জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে ঈদের নামাজের জামাত খোলা জায়গার পরিবর্তে কাছের মসজিদে পড়তে পারবেন। শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখতে প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাতের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
গত শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনার কথা জানানো হয়।
বৈঠক শেষে ধর্ম সচিব সাংবাদিকদের জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেশের কোথাও থেকে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। সে হিসাবে রমজান ৩০ টি পূর্ণ করে আগামী ২৫ মে সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে।
এদিকে শুক্রবার চাঁদ দেখা না যাওয়ায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে রোববার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
যেভাবে কাজ করে চাঁদ দেখা কমিটি
দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে কমিটি রয়েছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। দেশের কোথাও চাঁদ দেখা গেলে সেটি স্থানীয় প্রশাসন বা ইসলামিক ফাউন্ডেশন সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে জেলা কমিটির কাছে পৌঁছায়।
স্থানীয় নির্ভরযোগ্য ও ভালো দৃষ্টি শক্তিসম্পন্ন অনেকে চাঁদ দেখেছে কি-না বিষয়েটি দ্রুত তা নিশ্চিত করে।
সে খবরটি যাচাই করে জেলা কমিটি হয়ে কেন্দ্রীয় চাঁদ দেখা কমিটির হাতে পৌঁছায়।
একই সাথে আবহাওয়া অধিদফতরের দেশজুড়ে যে ৭৪টি স্টেশন আছে সেখান থেকেও তথ্য নেয় চাঁদ দেখা কমিটি।
যদি আবহাওয়া অনুকূল না থাকে অর্থাৎ খালি চোখে চাঁদ দেখার সুযোগ না থাকলে আবহাওয়া স্টেশন থেকে পাওয়া তথ্যও চাঁদ দেশের আকাশে উঠেছে কি-না তা নিশ্চিত হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।