আধুনিক প্রযুক্তির অনেকটাই এখন ‘সাদা সোনা’, অর্থাৎ লিথিয়াম-নির্ভর৷ এতদিন তা আমদানি করে নিজের চাহিদা মেটাতো জার্মানি৷ তবে জার্মানির বিজ্ঞানীরা সাফল্যের এখন লিথিয়াম রপ্তানির স্বপ্নও দেখছে ।অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ হলেও জার্মানি খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ নয়৷ এ কারণে লিথিয়ামও আমদানি করতে হয়৷
ট্যাব,মোবাইল ফোন, ঘড়িসহ অনেক কিছুই লিথিয়াম ব্যাটারি ছাড়া চলে না৷ এই লিথিয়াম সব দেশে হয় না৷ বিশ্বের প্রায় ৮০ ভাগ লিথিয়াম হয় খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ দেশ চিলি, বলিভিয়া,আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়ায়৷এ কারণে জার্মানির তৈরি লিথিয়াম ব্যাটারিতেও থাকে আমদানি করা লিথিয়াম৷
তবে সেই দিন ফুরিয়ে যেতে চলেছে৷সম্প্রতি থার্মাল ওয়াটার থেকে লিথিয়াম আহরণের উপায় উদ্ভাবন করেছেন জার্মানির কার্ল্সিগফ্রুহে ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (কেটিটি)-র বিজ্ঞানীরা৷অ্যান্টিম্যাটার হলো সমান ভর কিন্তু বিপরীত আধানযুক্ত মৌলকণা দিয়ে গঠিত বস্তু৷ এর প্রতি গ্রামের মূল্য ৬২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার৷
সমপ্রিতি জানা গেছে, জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিমের ওবারাইনগ্রাবেন (আপার রাইন রিফ্ট ভ্যালি)-এর মাটির গভীর থেকে থার্মাল ওয়াটার তুলে তা থেকে বের করা হয়েছে লিথিয়াম৷
কেটিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘আমরা প্রতি লিটার (থার্মাল ওয়াটার) থেকে ২০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত লিথিয়াম বের করতে পেরেছি৷'' কেটিটি-র গবেষক ইয়েন্স গ্রিমার মনে করেন, মাটির নিজে যে পরিমাণ লিথিয়ামের সন্ধান পাওয়া গেছে, তার পুরোটা উত্তোলন করা হলে তা দিয়ে জার্মানির চাহিদার অনেকটাই পূরণ করা সম্ভব হবে৷
মাটির নীচ থেকে লিথিয়াম উত্তোলনের সহজ একটা প্রযুক্তিও উদ্ভাবন করেছেন ইয়েন্স গ্রিমার ও তার সহকর্মী ফ্লোরেন্সিয়া সারাভিয়া৷ গ্রিমার-সারাভিয়া নামে পেটেন্টও করা হয়েছে ৷ জার্মান দুই বিজ্ঞানীর উদ্ভাবিত প্রযুক্তির সহায়তায় প্রচলিত প্রযুক্তির তুলনায় অনেক সহজে এবং কম সময়ে, বেশি লিথিয়াম তোলা যাবে বলে জানিয়েছেন৷