ছবি: সংগৃহীত
ঈদের সময় ঘনিয়ে আসায় দেশের বিভিন্ন স্থানে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। বিভিন্ন ধরনের কোরবানির পশু নিয়ে রাজধানীর অস্থায়ী হাটগুলোতে অপেক্ষা করছেন বিক্রেতারা। তবে হাটে বিপুল সংখ্যক গরু ও বিক্রেতা থাকলেও নেই কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা। এতে প্রতিটি গরু অন্তত ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে দাবি খামারিদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী গতকাল থেকে কোরবানির পশুর অস্থায়ী হাটগুলো শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আরও সপ্তাহখানেক আগেই হাটে গরু আসতে শুরু করে। দুই-তিন দিন ধরে কিছু কিছু পশু বিক্রিও হচ্ছে। তবে বিপুলসংখ্যক পশুর তুলনায় বিক্রির পরিমাণ একেবারেই কম। ঈদ অতিনিকটে থাকার পরও বিক্রি না বাড়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন বিক্রেতা ও ইজারাদাররা।
এছাড়া, কুমিল্লায় এখনও জমে উঠেনি পশুর হাট। হাটে গরু থাকলেও বিক্রি অনেকাংশেই কম। ঘোরাঘুরি করছেন ক্রেতারা শুধু শেষ সময়ে দাম কমার আশায় আছেন তারা। বিক্রেতারাও কাঙক্ষিত দাম না পাওয়া পর্যন্ত পশু ছাড়ছেন না। জেলা প্রশাসন বলছে কুমিল্লায় অনলাইন অ্যাপসের মাধ্যমে পশু ক্রয়বিক্রয়ে দাড়ুনভাবে সাড়া মিলছে। তবে খামারিরা বলছেন তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
কুমিল্লার অন্য একটি বাজার ‘চৌয়ারা বাজার’-এ পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, নানা দাম ও রঙের পশু হাটে উঠেছে, দেশি পশুর ও সরবরাহ ভালো। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাটে অবস্থানের পর বিক্রি না হওয়ায় পশু নিয়ে আবার বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন বিক্রেতারা।
এদিকে কোরবানি উপলক্ষে এবার চট্টগ্রাম নগরীতে তিনটি স্থায়ী ও চারটি অস্থায়ীসহ মোট সাতটি হাট বসেছে।
এরমধ্যে তিনটি স্থায়ী হাট হল- সাগরিকা, বিবিরাট ও পোস্তারপাড় ছাগলের হাট।
অপরদিকে অস্থায়ী হাটগুলো হল- নূরনগর হাউজিং সোসাইটি মাঠ, কমলমহাজন হাট, বাটারফ্লাই টিকে গ্রুপ মাঠ ও সল্টগোলা মাঠ এসবগুলো হাটেই পশু আসতে শুরু করেছে। বিক্রেতারা বসে আছেন ক্রেতার আশায়। তবে সর্বশেষ কথা হলো ক্রেতা নেই বললেই চলে।